চাঁদপুরের কচুয়ায় কাঁচা রাস্তা পাকাকরণের কাজ শেষ হতে না হতেই পিচঢালাই রাস্তার আস্তর কার্পেটের মতো উঠে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে স্থানীয়দের মাঝে। যদিও সংশ্লিষ্টরা দাবি করেন, পুরো আড়াই কিলোমিটারের রাস্তার মাত্র একটি অংশে (২০০ মিটার) এমন পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।
কচুয়া উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কচুয়া-কাশিমপুর হাইওয়ে সড়ক থেকে মনপুরা গ্রামের মাদ্রাসা পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটারের রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য ২০১৫ সালে টেন্ডার হয়। এতে ফরিদগঞ্জের সাবেক সাংসদ শামসুল হক ভূঁইয়ার লাইসেন্স দিয়ে কাজ পান এক ঠিকাদার। কিন্তু কাজটি শুরু করার কিছু দিন পরই তা বন্ধ হয়ে যায়। অবশেষে ২০১৬ সালে কচুয়ার সাংসদ মহীউদ্দীন খান আলমগীর স্থানীয় ঠিকাদার মমিনকে পুনরায় রাস্তার কাজটি সম্পন্ন করার দায়িত্ব দেন।
ঠিকাদার মমিন এক কোটি ৪৬ লাখ টাকার রাস্তা পাকাকরণের কাজটি গত মঙ্গলবার শেষ করেন। কিন্তু কাজ শেষের দুদিন পরই অর্থাৎ গত বৃহস্পতিবার দেখা যায় পিচঢালা রাস্তার কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। বিষয়টি বিভিন্ন সোসাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে সর্বত্র আলোচনা সমালোচনার শুরু হয়।
তবে বিষয়টি নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেছেন ঠিকাদার মমিন প্রধানীয়া। তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, এলাকার লোকজন হাত দিয়ে পিচ ঢালাই উঠিয়ে ফেলে আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, রাস্তাটি শুরু থেকেই নানা অনিয়ম ও নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে কাজ শুরু করেই তা বন্ধ করে ফেলে রাখা হয় প্রায় দুই বছর। এতে পথচারীরা চরম দুর্ভোগে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ সাকিব ঢাকাটাইমসকে বলেন, মন্থর গতির এই কাজে ব্যবহৃত ইট বালু পাথর সবই নিম্নমানের। রাস্তার দু’পাশের রেলিংয়ের ক্ষেত্রে ভালো ইট ব্যবহারের বদলে ব্যবহার করা হয় নিম্নমানের ইট। এছাড়াও পিচঢালাই দেয়ার আগে রাস্তা পাকাকরণে বিটুমিন না দিয়ে পিচঢালাই দেয়া হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ জাকির হোসেন ঢাকাটাইমসকে বলেন, আড়াই কিলোমিটারের রাস্তাটির কাজ এখনো পাঁচ ভাগ বাকি। তবে রাস্তাটির কাজ ইতিমধ্যে যা শেষ হয়েছে, তার মাত্র ২০০ মিটারে আমরা সমস্যা পেয়েছি। তাই ওই অংশটি দ্রুত মেরামতের জন্য আমরা তাদেরকে নির্দেশ দিয়েছি।